করোনা মহামারী ও আমফানের ধাক্কা কাটিয়ে আবারও ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় পোল্ট্রি খামারি মনির হোসেন সুমন । যশোর জেলার মনিরামপু উপজেলার ভোজগাতী ইউনিয়নের পাথালিয়া গ্রামে বসবাস করেন সুমন ও তার পরিবার।
তার পরিবারের রয়েছেন সুমনের পিতা রফিকুল ইসলাম, স্ত্রী চম্পা রানি, এবং তাদের নবজাতক শিশু কন্যা অথৈই। বেশ কয়েক বছর আগে ৪শ,পিচ পোল্ট্রির বাচ্চা দিয়ে খামারের জীবন শুরু করেন সুমন।
পোল্ট্রি ব্যবসায়নসুবিধা করতে না পেরে সোনালী মুরগি পালনের সাথে সাথে বিভিন্ন ধরনের বিদেশি মুরগির চাষ করতেন সুমন। সেখান থেকে ভালোই চলছিল সুমনের সংসার। করোনা মহামারী ও আমফানে সুমনের খামারে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির হয়। ১হাজার মুরগি পালনের একটি খামার আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সে সময় সুমনের খামারে ছিল ১৫শ রেডি সোনালী মুরগী। সে সময় সে সব মুরগী গুলা কম দামে বিক্রি করে লসের মুখে পড়ে সুমন। এছাড়া সুমনের রয়েছে ১০টি গরু পালন করার মত একটি খামার যেটি তৈরি করতে সুমনের খরচ হয়েছে আনুমানিক এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা।
এছাড়া সুমনের বাড়িতে রয়েছে দুইটি পুকুর বিভিন্ন ধরনের ফলের গাছ। পুকুরের মাছ থেকে বছরে সুমনের আয় ২০হাজার, বাতাবি লেবুর থেকে ৩/৪হাজার টাকা,কাগজি লেবুর থেকে ১৮/২০ হাজার টাকা,আম থেকে আসে ৮/১০ হাজার টাকা। এছাড়া সুমনের আঙিনায় রয়েছে সকল ধরনের মৌসুমী ফল এবং শাক সবজি।
এসব থেকে উপার্জন করে চলতো সুমনের সংসার। বর্তমানে সুমন আবারও পোল্ট্রি চাষে আগ্রহী হয়েছেন কয়েক শ পোল্টি তার খামারে লালন পালন করছেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।